কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা দেয়া শুরু করা হলো আজ থেকে | Krishak Bandhu Taka

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের নতুন ঘোষণা
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের নতুন ঘোষণা: কৃষকদের জন্য রাজ্যের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রবি মরসুমের জন্য নতুন করে ঘোষণা করেছেন | এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বড়সড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে |

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২৪-২৫ রবি মরসুমে এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে এই বর্ষে প্রকল্পের জন্য মোট ২,৯৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার |

এই প্রকল্পের মোট আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৮০০ কোটি টাকা ২০১৯ সালে প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চাষি বর্গাদার ও ভাগ চাষিদের জন্য রাজ্য সরকার মোট ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে |

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা

আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষক ও চাষিদের প্রতি মরসুমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় | মৃত্যুজনিত সহায়তা কোনো কৃষকের আকস্মিক মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয় | এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ১ লক্ষ ২৭ হাজার কৃষক পরিবারকে মোট ২,৫০০ কোটি টাকারও বেশি সাহায্য প্রদান করা হয়েছে |

শস্য বীমা প্রকল্প বাংলার কৃষকদের জন্য শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় কোনো ধরনের অর্থ প্রদানের প্রয়োজন হয় না রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে কৃষকদের শস্য বীমার খরচ বহন করে থাকে |

এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লক্ষ কৃষক শস্য বীমার সুবিধা পেয়েছেন এবং মোট ৩,২২১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে |

রবি মরসুমের টাকা প্রদান শুরু

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ২২শে নভেম্বর থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের রবি মরসুমের টাকা কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছে | তবে সকল কৃষকের অ্যাকাউন্টে একই দিনে টাকা পৌঁছাবে না |

ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার কারণে কারও ক্ষেত্রে এটি দুই দিন সময় নিতে পারে আবার কারও ক্ষেত্রে সাত থেকে দশ দিন বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে |

শস্য বীমায় নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা বাড়ানো

কৃষকদের সুবিধার্থে শস্য বীমায় নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে | পূর্বে এই সময়সীমা ছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, যা বাড়িয়ে এখন নভেম্বর করা হয়েছে | এর মাধ্যমে ৬৫ লক্ষেরও বেশি কৃষক ইতিমধ্যেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন |

সরকারের লক্ষ্য: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন রাজ্যের কৃষকদের উন্নয়ন ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য | কেন্দ্র থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা না পেলেও রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলিকে সফলভাবে কার্যকর করা হচ্ছে |

কৃষকবন্ধু প্রকল্প বাংলার কৃষকদের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হয়ে উঠেছে যা তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে |

আরো পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করে | ২০০০ টাকা করে দেবে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top