
ভারত সরকার চালু করতে চলেছে নতুন নাগরিকত্ব কার্ড সিটিজেন কার্ড। এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি বাধ্যতামূলক পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যন্তরে এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
Citizen Card India: সিটিজেন কার্ড কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সিটিজেন কার্ড হল একটি ইউনিক পরিচয়পত্র, যা বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ইস্যু করা হবে। এই কার্ডে থাকবে একটি বিশেষ নম্বর, যা নাগরিকের পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করবে। এটি আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভোটার আইডি-র পর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হিসেবে যুক্ত হবে।
সরকারের পরিকল্পনা:
সরকার ২০২৪ সালের বাজেটের পরে জনগণনার কাজ শুরু করবে। সেই সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR)-এর আপডেটও করা হবে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গেই সিটিজেন কার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিটিজেন কার্ডের বৈশিষ্ট্য:
১. ইউনিক নম্বর: প্রত্যেক নাগরিক একটি ইউনিক নম্বর পাবে। ২. ডিজিটাল সংযুক্তি: আধার এবং ভোটার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ৩. প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য: নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ৪. নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে সহায়ক হবে। ৫. ডিজিটাল রেকর্ড: সহজে নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে।
কাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক?
এই কার্ড দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে ১৮ বছরের নিচের শিশুদের জন্য অভিভাবকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
কীভাবে কাজ করবে এই কার্ড?
১. তথ্য সংগ্রহ: সেন্সাস ও এনপিআর আপডেটের সময় নাগরিকদের তথ্য নেওয়া হবে। ২. ডিজিটাল রেজিস্ট্রি: সমস্ত তথ্য ডিজিটাল ডেটাবেসে সংরক্ষণ করা হবে। ৩. কার্ড বিতরণ: যোগ্য নাগরিকদের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
কার্ডের উপকারিতা:
১. জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি: অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও রেজিস্ট্রেশন সহজ হবে। ২. সুবিধা প্রাপ্তি: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে বাধ্যতামূলক হবে। ৩. পরিচয় যাচাই: চাকরি, শিক্ষা ও চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যাবে। ৪. উন্নত প্রশাসন: একাধিক কার্ডের ঝামেলা এড়িয়ে একটি ইউনিক আইডি ব্যবহার করা যাবে।
সেন্সাস এবং এনপিআর আপডেটের গুরুত্ব:
সেন্সাস এবং এনপিআর আপডেটের গুরুত্ব:কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে সেন্সাস ও এনপিআর আপডেট শুরু হবে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
- সেন্সাসের জন্য: ৮৭৫৪ কোটি টাকা
- এনপিআরের জন্য: ৩৯৪১ কোটি টাকা
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
১. ডিলিমিটেশন: ২০২৬ সালে লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস। ২. ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নির্বাচনের একযোগে পরিচালনা। ৩. ইউনিফর্ম সিভিল কোড: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রয়োগ।
মোদি সরকারের ছয়টি বড় উদ্যোগ:
১. সেন্সাস ২. এনপিআর আপডেট ৩. ডিলিমিটেশন ৪. ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন ৫. ইউনিফর্ম সিভিল কোড ৬. সিটিজেন কার্ড
সিটিজেন কার্ড কি বাধ্যতামূলক হবে?
এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, এটি বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য এই কার্ড চালু করা হবে।
শেষ কথা:
সিটিজেন কার্ড ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে। এর মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা আরও সহজলভ্য হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার হবে। এখনো এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আলোচনায় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
আরো পড়ুন:- Post Office Monthly Income Scheme: মাসে ৯২৫০ টাকা আয়ের সুযোগ, নতুন সরকারী প্রকল্পের ঘোষণা

হ্যালো বন্ধুরা, আমার নাম ( Yusuf Sheikh ) আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমি নদীয়া জেলাতে বাসকরি । আমি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আমি প্রতিদিন ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন প্রকল্পের আপডেট দিয়ে থাকি, ইউটুব চ্যানেল এর নাম Prokolper Thikana
ধন্যবাদ