
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কী?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প, যা রাজ্যের গৃহবধূ ও আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদান করে। ২০২১ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। ২০২৫ সালের জন্য নতুন নিয়ম ও সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।
২০২৪ – ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম ও আপডেট
১. আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি
- সাধারণ শ্রেণির মহিলারা আগে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, এখন সেটি ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
- তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫০ টাকা করা হয়েছে।
- এই পরিবর্তনের ফলে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা উপকৃত হবেন এবং তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ বহন করা সহজ হবে।
২. নতুন যোগ্যতার মানদণ্ড
- আগে আবেদনকারীর বয়সসীমা ছিল ২৫ থেকে ৬০ বছর, কিন্তু এখন সেটি ২৩ থেকে ৬৫ বছর করা হয়েছে।
- যেসব মহিলা আগে কোনো সরকারি পেনশন বা বড় আয়ের উৎস পেতেন না, কেবল তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
- একক মায়েরা, বিধবা ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরাও এখন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত।
৩. আবেদন প্রক্রিয়ার উন্নতি
- অনলাইন আবেদন: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে।
- অফলাইন আবেদন: স্থানীয় ব্লক অফিস, পৌরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে ফর্ম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
- আধার ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিংক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে অর্থ সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়।
কীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে?
- প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।
- ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত ট্রানজাকশন DBT (Direct Benefit Transfer) পদ্ধতিতে হবে, যাতে কোনো দালাল বা মধ্যস্থতাকারী না থাকে।
- সুবিধাভোগীরা মোবাইল SMS-এর মাধ্যমে টাকা জমার নোটিফিকেশন পাবেন।
একজন উপভোক্তার বাস্তব অভিজ্ঞতা
নদিয়া জেলার বাসিন্দা সুমিতা দাস আগে সংসারের ছোটখাটো খরচ মেটাতে হিমশিম খেতেন। ২০২৩ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি মাসিক ভাতা পেতে শুরু করেন। এই অর্থ দিয়ে তিনি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করেন, যেমন হাতে তৈরি চুড়ি ও শাঁখা বিক্রি করা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভাতার পরিমাণ বাড়ায়, তার সঞ্চয়ও বেড়েছে। তার মতে, এই প্রকল্প শুধুমাত্র সহায়তা নয়, বরং মহিলাদের স্বনির্ভর হতে সাহায্য করছে।
উপসংহার:
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাড়তি ভাতা, বয়সসীমার পরিবর্তন এবং সহজতর আবেদন প্রক্রিয়া মহিলাদের জন্য আরও বেশি উপকারী হবে। যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য হন, তবে দ্রুত আবেদন করুন এবং সরকারি সুবিধা গ্রহণ করুন।
বিস্তারিত জানতে বা আবেদন করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন বা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরো পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা, আর পাবে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা

হ্যালো বন্ধুরা, আমার নাম ( Yusuf Sheikh ) আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমি নদীয়া জেলাতে বাসকরি । আমি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আমি প্রতিদিন ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন প্রকল্পের আপডেট দিয়ে থাকি, ইউটুব চ্যানেল এর নাম Prokolper Thikana
ধন্যবাদ