
পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবাস যোজনার (Awas Yojana) মাধ্যমে গৃহহীন মানুষের ঘর নির্মাণের স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো হলেও প্রকল্পের অনেক গ্রাহকই এখন বড় সমস্যার মুখোমুখি। প্রধান সমস্যার কারণ হলো বালির চড়া দাম যা নির্মাণের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বালির দাম বাড়ার প্রভাব
আবাস যোজনার নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করেই বালির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। বালিঘাট থেকে নির্ধারিত মূল্যে বালি সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতিটি ঘনফুট বালির জন্য ২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে উপভোক্তারা বাজারে ৪০ ৪২ টাকা ঘনফুট দামে বালি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাড়ি নির্মাণের মোট খরচের অর্ধেকই বালির পেছনে চলে যাচ্ছে।
সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের উদ্যোগ
বালির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালিঘাটের ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতি ঘনফুট বালির দাম ২০ ২৫ টাকার মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়া এক একজন উপভোক্তা ৬০০ ঘনফুট পর্যন্ত বালি কিনতে পারবেন।
তবে অনেক গ্রাহকের অভিযোগ নির্ধারিত মূল্যে বালি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্মাণ কাজ শুরু করতে না পেরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
কেন বাড়ছে বালির দাম?
ইজারাদারদের মতে বালিঘাট পরিচালনার জন্য ১৫০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজস্ব এবং অন্যান্য খরচ। এছাড়া, ইজারাদারদের কাছ থেকে বালি কেনার বাধ্যবাধকতা থাকায় সাধারণ গ্রাহকদের জন্য বালির দাম আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ট্রাক চালকদের একাংশের বক্তব্য, নদীর যেখানে-সেখানে বালি তোলার ওপর প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় সহজে বালি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। ফলে সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কারণে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে।
গ্রাহকদের হতাশা
যদিও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তবু অনেক গ্রাহকই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। বাড়ি তৈরির কাজ আটকে থাকায় অনেকেই ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাস যোজনা প্রকল্পটি গৃহহীনদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বালির দামের মতো সমস্যাগুলো সমাধান করা না গেলে প্রকল্পটি সঠিক সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত করা কঠিন হবে। প্রশাসন এবং ইজারাদারদের মধ্যে আরও সমন্বয় প্রয়োজন, যাতে উপভোক্তারা নির্ধারিত মূল্যে উপকরণ পেয়ে তাদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
আরো পড়ুন:- আবাস যোজনা টাকা না পেলে ১৫ জানুয়ারির পর বড় পদক্ষেপ নেবে বিজেপি

হ্যালো বন্ধুরা, আমার নাম ( Yusuf Sheikh ) আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমি নদীয়া জেলাতে বাসকরি । আমি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আমি প্রতিদিন ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন প্রকল্পের আপডেট দিয়ে থাকি, ইউটুব চ্যানেল এর নাম Prokolper Thikana
ধন্যবাদ