Banglar Awas Yojana: আবাস প্রকল্পের টাকা ফিরিয়ে নিচ্ছে রাজ্য

Awas Yojana Money Recovery
Awas Yojana Money Recovery
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) দুর্নীতি রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার ঠেকাতে ইতোমধ্যে একাধিক নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এবার ভুল উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Banglar Awas Yojana: আবাস প্রকল্প থেকে ফেরত টাকার জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট

পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিডাক্ট রিকভারিজ় হেড অব অ্যাকাউন্ট নামক পৃথক একটি তহবিল চালু করেছে। এই তহবিলে আবাস প্রকল্পের ভুলভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ জমা পড়বে। নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ইতোমধ্যে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা যাবে কত সংখ্যক অযোগ্য উপভোক্তা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এবং কীভাবে ভবিষ্যতে এই তালিকা আরও নির্ভুল করা যায়।

প্রকল্পের অর্থ ফেরত নিয়ে নজরদারি

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে টাকা বরাদ্দের পুরো প্রক্রিয়া সঠিক উপভোক্তাদের নিশ্চিত করতে প্রতিটি স্তরে কড়া নজরদারি চলছে। প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর পরেও উপভোক্তাদের যোগ্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে যে প্রকৃত উপভোক্তারাই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।

কেন এই পদক্ষেপ জরুরি?

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকার ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে। কিন্তু যাচাই প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, কিছু অযোগ্য উপভোক্তা এই সুবিধা পেয়েছেন। তাই এই ভুলগুলো ঠিক করার জন্য এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারি তথ্যমতে ভুলভাবে বরাদ্দ হওয়া অর্থ ফেরানোর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অর্থ ফেরানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে নবান্নের এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

আবাস প্রকল্পের যেসব উপভোক্তা প্রকৃতপক্ষে যোগ্য, তাঁদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে এই যাচাই প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে তারা আবাস প্রকল্পের অর্থ অপচয় রোধে বদ্ধপরিকর। পৃথক অ্যাকাউন্ট চালু করার মতো পদক্ষেপ প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে প্রকৃত উপভোক্তারা যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হন।

আরো পড়ুন:- ৬০০০০ টাকার কিস্তি পেলেও, বাড়ি তৈরিতে বাধা! আবাস যোজনায় বালির দাম নিয়ে বড় প্রশ্ন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top