
Bangla Awas Yojana Survey Update
আবাস যোজনার নিয়মের পরিবর্তনের ফলে কাজের সমস্যা দেখা যাচ্ছে | জেলার বিভিন্ন অংশে আবাস যোজনা উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে গিয়ে জেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে | প্রশাসন কর্মীদের মতে নিয়মে বারবার পরিবর্তন ফলে তালিকা তৈরি করার প্রক্রিয়াটাকে আরো জটিল করে তুলছে | এই প্রকল্পর কাজ কবে শেষ হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে |
এছাড়াও 11 নভেম্বর থেকে ভোটার কার্ড তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতে চলেছে জানিয়ে জেলা প্রশাসন চিন্তিত | কারণ ব্লক প্রশাসন কর্মীরা আবাস যোজনা ও ভোটার কার্ডের তালিকা সংশোধন এই দুটি কাজের দায়িত্বই রয়েছে | এবং তারা আবাস যোজনা কাজে এতটাই ব্যস্ত যে ভোটার কার্ডের তালিকা সংশোধনের কাজ ঠিকমতো করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে |
কর্মীদের অতিরিক্ত চাপ
জেলার বিভিন্ন ব্লক কর্মীরা জানিয়েছে যে তাদের জন্য আবাস যোজনা কাজ অত্যন্ত চাপের হয়ে উঠেছে | তবে হাওড়ারা জেলার জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন | তার মতে জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ২০ অক্টোবর থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল এবং কাজ এগোচ্ছে যথাসময়ে।
আবাস প্রকল্পের তহবিলের উৎস
আবাস প্রকল্পের অর্থ আসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে | ২০২২ সালে তালিকায় ছিল সেই সমস্ত উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিজস্ব পাকা বাড়ি তৈরি করে ফেলেছে | এর জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে সেই সমস্ত নাম বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল |
আবাস যোজনার প্রথম পর্যায়ে সার্ভে চলে প্রায় এক সপ্তা ধরে | জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় যাদের ইটের বাড়ি রয়েছে তাদের নাম এই তালিকা থেকে বাদ দিতে | এই সার্ভে করার পর দেখা যায় যে , প্রায় প্রতিটি ব্লকে ৫০% ও বেশি উপভোক্তাদের নাম এই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হচ্ছে |
এবং এছাড়াও আরও একটি নির্দেশ আসে | শুধুমাত্র ইটের তৈরি বাড়ি থাকলে তাদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না | যদি ওই ব্যক্তির বাড়িতে ঢালাই ছাদ দেওয়া থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির নাম রাখা যাবে না |
কিছুটা অংশ দেখা গিয়েছে সারবে চলাকালীন দেখা গেছে অনেকেই তাদের গোয়ালঘর বা রান্নাঘর দেখিয়েছে | তার জন্য আবার নতুন করে যাচাই করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে
নির্দেশিকা ?
সাম্প্রতিক নির্দেশিকাই জানানো হয়েছে | ২০২২ সালে তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা যদি ঋণ নিয়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন | তারাও এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাবেন | এই নির্দেশ করার পর পরই ব্লক প্রশাসন কর্মীরা আবারো নতুন করে যাচাই করছে যে ওই সব উপভোক্তারা যারা ঋণ নিয়ে পাকা বাড়ি করেছে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কিনা |
কাজের বিলম্ব এবং বিভ্রান্তি
নিয়ম পরিবর্তনের ফলে তালিকা তৈরি করতে ব্লক কর্মীদের অনেকটাই সময় ব্যয় হচ্ছে | প্রায় দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকটি ব্লকে ১০ হাজারের উপর এত ভোক্তাদের নাম রয়েছে | যা প্রতিবার নতুন করে সারবে চালাতে গিয়ে সময় বাড়াচ্ছে এবং বাসিন্দাদের মনে নানান রকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে | এই কাজের ফলে বিভিন্ন দপ্তরের কাজেও বাধা আসছে |

হ্যালো বন্ধুরা, আমার নাম ( Yusuf Sheikh ) আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমি নদীয়া জেলাতে বাসকরি । আমি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আমি প্রতিদিন ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন প্রকল্পের আপডেট দিয়ে থাকি, ইউটুব চ্যানেল এর নাম Prokolper Thikana
ধন্যবাদ