
পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প। শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প রাজ্যের লাখ লাখ মেয়ের জীবন পাল্টে দিয়েছে।
এবার মুখ্যমন্ত্রী নতুন নির্দেশ দিয়েছেন ২০২৪ সালের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার। রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়ে কাজ শুরু করেছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের মূল কাঠামো
এই প্রকল্পটি মূলত তিনটি ধাপে মেয়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। বার্ষিক বৃত্তি ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি অবিবাহিত স্কুলছাত্রীদের বার্ষিক ১০০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। এককালীন অনুদান উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজে পড়াশোনা করা অবিবাহিত ছাত্রীদের ১৮ বছর বয়সে এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। উচ্চশিক্ষার সহায়তা স্নাতকোত্তর বা পেশাগত কোর্সে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ছাত্রীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
১ কোটি উপভোক্তার লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা
বর্তমানে প্রায় ৮৯ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকার প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যেই আরও ১১ লক্ষ ছাত্রীকে কন্যাশ্রীর আওতায় আনতে হবে। জেলা এবং ব্লক পর্যায়ে প্রশাসনের ওপর বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো যোগ্য ছাত্রী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।
অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয়
কন্যাশ্রী ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবুজ সাথী, এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পগুলোকেও আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সরকার রাজ্যের শিক্ষার্থী ও মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষা এবং স্বনির্ভরতার পথ সুগম করছে।
আবেদন পদ্ধতি কন্যাশ্রী প্রকল্পে আবেদন করতে হলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ তা জমা দিতে হবে। প্রশাসন থেকে প্রতিটি আবেদন যাচাই করে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়।
প্রশাসনের উদ্যোগ নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর প্রতিটি জেলা এবং ব্লক প্রশাসন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের প্রতিটি মেয়েকে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রচার ও সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
মেয়েদের ক্ষমতায়নের এক দৃষ্টান্ত
কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, এটি মেয়েদের জীবনে স্বপ্ন দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর মেয়েদের প্রজন্ম গড়ে তুলতে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আরো পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা, আর পাবে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা

হ্যালো বন্ধুরা, আমার নাম ( Yusuf Sheikh ) আমি একজন অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আমি নদীয়া জেলাতে বাসকরি । আমি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকি, আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আমি প্রতিদিন ওয়েস্ট বেঙ্গলের বিভিন্ন প্রকল্পের আপডেট দিয়ে থাকি, ইউটুব চ্যানেল এর নাম Prokolper Thikana
ধন্যবাদ