মাসে ৯২৫০ টাকা আয় করতে পারবেন পোস্ট অফিসের নতুন স্কিমে! জেনে নিন বিস্তারিত

post office new scheme
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

টাকা সঞ্চয়ের সেরা মাধ্যমের কথা ভাবলে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্প একটি বিশ্বস্ত ও লাভজনক উপায় হিসেবে উঠে আসে। যারা নিরাপদ বিনিয়োগ চান এবং ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক, তাদের জন্য পোস্ট অফিসের মাসিক আয় প্রকল্প (Post Office Monthly Income Scheme – POMIS) হতে পারে একটি আদর্শ সঞ্চয় প্রকল্প।

এই প্রকল্পটি সরকার সমর্থিত হওয়ায় এটি যেমন ঝুঁকিমুক্ত তেমনি প্রতিমাসে নিশ্চিত আয়েরও নিশ্চয়তা দে।

POMIS প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য ও মেয়াদ

Post Office Monthly Income Scheme এর মেয়াদ পাঁচ বছর। এই প্রকল্পে বার্ষিক সুদের হার বর্তমানে ৭.৪ শতাংশ, যা প্রতি মাসে সুদের আকারে জমা হয়। যাঁরা এককালীন বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা পেতে চান তাঁদের জন্য এই স্কিম এককথায় চমৎকার। পোস্ট অফিসের নতুন স্কিমে

এই স্কিমে সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা থেকে শুরু করে একক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে।

কীভাবে আয় করবেন?

১. ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে: মাসে আয় হবে ৫,৫৫০ টাকা।

২. ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে: মাসে আয় হবে ৯,২৫০ টাকা।

এই মাসিক আয়ের পরিমাণ অনেকের জন্যই তাদের দৈনন্দিন খরচের সাপেক্ষে বড় সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে যারা অবসর জীবনে আয়ের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি কার্যকরী উপায়।

বিনিয়োগের সুবিধা ও শর্তাবলী

  • ন্যূনতম বিনিয়োগ: ১,০০০ টাকা।
  • বিনিয়োগের মেয়াদ: ৫ বছর।
  • বার্ষিক সুদের হার: ৭.৪%।
  • একক বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা।

গ্রাহক চাইলে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে একই প্রকল্পে পুনরায় বিনিয়োগ করতে পারবেন।

প্রিম্যাচিউর ক্লোজার: জরুরি প্রয়োজনে টাকার ব্যবহার

এই প্রকল্পে বিনিয়োগের পর যদি কোনো জরুরি প্রয়োজন দেখা দেয় এবং গ্রাহককে টাকা তুলতে হয়, তবে এক বছরের পর থেকে প্রিম্যাচিউর ক্লোজারের সুযোগ রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে মূলধনের উপর সামান্য পেনাল্টি কাটা হবে। এক বছরের পরে টাকা তুললে ২ শতাংশ এবং তিন বছরের পরে তুললে ১ শতাংশ হারে পেনাল্টি চার্জ করা হয়।

আবেদন করার পদ্ধতি

এই প্রকল্পে আবেদন করতে চাইলে গ্রাহককে নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে যেতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হবে:

  • বৈধ পরিচয়পত্র (যেমন, ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড)।
  • ঠিকানা প্রমাণপত্র।
  • পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট।

পোস্ট অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

POMIS কেন সেরা বিনিয়োগ পরিকল্পনা?

১. নিরাপত্তা: পোস্ট অফিসের প্রকল্পগুলো সরকার সমর্থিত হওয়ায় এতে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।

২. মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা: প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাওয়ার সুযোগ।

৩. সহজলভ্যতা: দেশের যেকোনো পোস্ট অফিস থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা।

কাদের জন্য উপযোগী?

যাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণ সঞ্চয় জমা রেখে মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা চান, বিশেষত অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা যাঁরা নিশ্চিত আয়ের সন্ধান করেন, তাঁদের জন্য এই স্কিমটি অত্যন্ত উপযোগী।

আরো পড়ুন:- ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের টেলিকমে বড় পরিবর্তন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top